ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার গড়ার সেরা ৮ টি স্ক্রিল

ফ্রিল্যান্সিং করে অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করা যায় এই বিষয়টা তরুণ প্রজন্মের কাছে বেশ ইন্টারেস্টিং ব্যাপার। তবে অনেক মানুষ আছে, যারা অনলাইন থেকে ইনকাম করতে এসেও কিছুই করতে পারে না। আবার অনেকেই অনলাইনে কাজ করে সফলভাবে তাদের ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার বিল্ড করতে সক্ষম হয়ে যায়।

কিন্তু ব্যবধানটা কোথায়? যারা অনলাইন ক্যারিয়ারে সফল হতে পারে না, তাদের ভুলটা কি? আবার যারা সফল হয় তাদের বিশেষত্ব কি? আপনি কি কখনও এভাবে চিন্তা করেছেন?

আসলে ফ্রিল্যান্সিং কি এবং কিসের ভিত্তিকে ইনকাম হয়, এর বেসিক কনসেপ্টই অনেকের কাছে অজানা। এজন্য অনেকেই এখনো মনে করেন ফ্রিল্যান্সিং মানেই ভিত্তিহীন একটি শব্দ। আবার অনেকেই ভাবেন কাজ না করেই মাসে হাজার হাজার ডলার ইনকাম।

বিষয়টা মোটেও এমন নয়। প্রথমেই বলে নিই ফ্রিল্যান্সিং একটি অনলাইন চাকরি, যা শতভাগ রিয়েল পেশা। এবং এর মাধ্যমে বাংলাদেশের রেমিটেন্স খাতে প্রতি মাসে মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার যুক্ত হয়।

তবে ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করতে অবশ্যই আপনাকে কম্পিউটার ভিত্তিক স্কিল অর্জন করতে হবে। আর এই স্কিলের উপর কাজ করেই আপনাকে উপার্জন করতে হবে।

বাস্তব জীবনে কাজ না করে বসে বসে ইনকাম করা দুষ্কর ব্যাপার। এটা অনলাইন এবং অফলাইন উভয় ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। যাইহোক,

আপনি যদি নিজের স্কিলের উপর কাজ করে অনলাইন থেকে অর্থ উপার্জন করতে চান, তবে আপনাকে উপযুক্ত এবং সুইটেবল স্কিলের প্রতি মনোযোগী হওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

অর্থাৎ, আপনাকে এমন স্কিল অর্জন করতে হবে, যেই স্কিলের উপর সত্যিকার অর্থেই বিশ্বব্যাপী কাজের চাহিদা রয়েছে। সেইসাথে সেই ধরণের স্কিলের ফিউচার সমৃদ্ধ।

আজ আমি আপনাকে ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য সবচেয়ে ডিমান্ডেবল এবং উচ্চ মানের বেশ কয়েকটা স্কিলের কথা বলব। যেই স্কিল গুলোর অনেক চাহিদা রয়েছে এবং সামনের দিনগুলোতেও এই স্কিলগুলোর সম্ভাবনা প্রবল।

ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার গড়ার সেরা ৮ টি স্কিল

ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার গড়ার সেরা স্কিলফ্রিল্যান্সিং করে ইন্টারনেট থেকে টাকা ইনকাম করার জন্য আপনাকে অবশ্যই সঠিক স্কিল সম্পর্কে জানতে হবে। তাছাড়া এমন কাজ শিখতে হবে যেই কাজের চাহিদা অনলাইনে রয়েছে।

মনে রাখবেন, অনলাইন এবং অফলাইনের কাজের মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে। যেমন, অফলাইনে এমন অনেক কাজ আছে, যার চাহিদা অনলাইনে কম। আবার অনলাইনে অনেক কাজ আছে, যার চাহিদা অফলাইনে নাই।

তাই অনলাইন ভিত্তিক স্কিল ডেভেলপ করতে হবে। এমনই কিছু স্কিল আইডিয়া দেওয়া হলো, যা আপনার সঠিক স্কিল নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

(১) কম্পিউটার সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট

কম্পিউটার সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার গড়ার জন্য অত্যন্ত স্মার্ট একটি স্কিল বা পেশা। এই পেশার সাথে জরিত আছে বিশ্বের লক্ষ লক্ষ মানুষ। তবে এই পেশাটি সবার জন্য নয়। কারণ, কম্পিউটার সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট এমনই একটি কাজ, যেটা শেখার জন্য আপনাকে উন্নত মানের কম্পিউটার প্রোগ্রামিং নলেজ আয়ত্ব করতে হবে।

কম্পিউটার সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট মূলত কম্পিউটার কেন্দ্রিক সফটওয়্যার তৈরির কাজ। এটা শেখার জন্য উচ্চতর গণিত এবং সায়েন্স বিষয়ক পড়াশোনা করতে হয়। পৃথিবীব্যাপী অনেক বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে, যেখানে কম্পিউটার সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট সম্পর্কে স্টুডেন্টদেরকে বিশেষ প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ করে তোলা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও অনেক আইটি ফার্ম আছে, যেখানে কম্পিউটার সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট শেখানো হয়। তবে আপনি যেভাবেই শিখেননা কেন, প্রোগ্রামিং সম্পর্কে সঠিক ধারণা পাওয়ার জন্য উচ্চতর গণিত এবং সায়েন্স বিষয়ে আপনাকে দক্ষতা অর্জন করতেই হবে।

কম্পিউটার সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট আলাদা আলাদা কিছু অপারেটিং সিস্টেমকে টার্গেক করে করা হয়। তারমধ্যে জনপ্রিয় ২ টি অপারেটিং সিস্টেম হলো, উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম এবং ম্যাক বা অ্যাপল অপারেটিং সিস্টেম।

(২) অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট

আমরা সকলেই জানি, স্মার্টফোনের জন্য ডিফারেন্ট অপারেটিং সিস্টেম রয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় স্মার্টফোন অপারেটিং সিস্টেম হলো এন্ড্রয়েড এবং আইএসইও। এন্ডয়েড হলো পৃথিবীর বৃহত্তম স্মার্টফোন অপারেটিং সিস্টেম। যেটা গুগল কোম্পানি দ্বারা পরিচালিত হয়। আইএসও হলো দ্বিতীয় বৃহত্তম স্মার্টফোন অপারেটিং, যেটা অ্যাপল কোম্পানি দ্বারা পরিচালিত হয়।

এগুলো ছাড়াও আরো নতুন নতুন স্মার্টফোন কেন্দ্রিক অপারেটিং সিস্টেম তৈরি হচ্ছে। তবে আপনি যেই ধরণের অপারেটিং সিস্টেম নিয়ে কাজ করেনা কেন, আপনাকে প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ বা কোডিং সম্পর্কে জ্ঞান আয়ত্ব করতে হবে।

অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট শেখার জন্য আপনাকে প্রায় কম্পিউটার সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট এর দিক নির্দেশিকা ফলো করতে হবে। কারণ, অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট যেই ধরণের প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ দিয়ে করা হয়, ঠিক সেই ধরণের প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ দিয়েই কম্পিউটার সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট করা হয়।

(৩) ওয়েব ডিজাইন

ওয়েব ডিজাইন এবং ওয়েব ডেভেলপমেন্ট একই ক্যাটাগরির কাজ। তাই দুটোকে একসাথেই রাখছি। একটি স্মার্ট ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার গড়ার জন্য ওয়েব ডিজাইন খুবই সম্ভাবনাময় একটি কর্ম। ওয়েব ডিজাইন শেখার জন্য আপনার একাডেমিক বিশেষ কোন সার্টিফিকেট এর প্রয়োজন হবে না। তবে কোডিং নলেজ আয়ত্ব করার জন্য শিক্ষার বিকল্প নেই।

শিক্ষার কথা এজন্যই বলছি, যে কোন ধরণের প্রোগামিং বা কোডিং গাণিতিক নির্দেশনা মেনে করতে হয়। আপনি যদি এইচএসসি সম-পরিমাণ পড়াশোনা করে থাকেন, তবে ওয়েব ডিজাইন শেখা আপনার জন্য অনেক সহজ হবে।

আপনি চাইলে ওয়েব ডিজাইন এবং ওয়েব ডেভেলপমেন্টকে আপনার পেশা হিসেবে নিঃসন্দেহে বেছে নিতে পারেন। পাশাপাশি ওয়েব ডিজাইন এর উপর আপনার জন্য খুবই সুন্দর একটি ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার বিল্ড করতে পারেন।

(৪) এসইও

এসইও (SEO) এর পূর্ণরূপ হচ্ছে ‘সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইশেন’। এটা মূল ডিজিটাল মার্কেটিং এর একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এসইও করার মাধ্যমে একটি ওয়েব পেজ সার্চ ইঞ্জিনে র‌্যাঙ্ক করে এবং চাহিদা অনুযায়ী কাঙ্খিত লক্ষ্য পূরণ করে দেয়।

এসইও শেখার জন্য আপনাকে একাডেমিক ভাবে বিশেষ কোন যোগ্যতার প্রয়োজন নেই। তবে যোগ্যতা আপনাকে পথ চলতে সহায়তা করবে। এসইও মূলত ওয়েবসাইট ভিত্তিক কাজ। এসইও শিখতে হলে আপনাকে কন্টেন্ট রাইটিং, এইচটিএমএল ট্যাগ, কন্টেন্ট মেটা এবং সার্চ ইঞ্জিন সম্পর্কে জানতে হবে। জানুন, এসইও শিখতে কতদিন লাগে?

(৫) স্টিল ইমেজ গ্রাফিক্স ডিজাইন

বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় ও চাহিদার ভিত্তিতে স্টিল ইমেজ গ্রাফিক্স ডিজাইন হলো অন্যতম। আমাদের দৈনন্দন জীবনের প্রত্যেকটা কাজেই স্টিল ইমেজ গ্রাফিক্স প্রয়োজন হয়। বই-পুস্তক থেকে শুরু করে সব ধরণের আসবাব পত্রেও স্টিল ইমেজ গ্রাফিক্স ডিজাইন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

গ্রাফিক্স ডিজাইন শেখার মাধ্যমে যে কেউ চাইলে তার ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার বিল্ড করতে পারে। স্টিল ইমেজ গ্রাফিক্স ডিজাইন শেখার জন্য একাডেমিক বিশেষ কোন সার্টিফিকেট এর প্রয়োজন নেই। আপনি কোন ব্যকগ্রাইন্ড থেকে এসেছেন তাও দেখবেনা কেউ।

তবে স্টিল ইমেজ গ্রাফিক্স শেখার জন্য আপনাকে কম্পিউটার এবং নকশা সম্পর্কে সু-ধারণা রাখা উচিত। জানুন, গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখতে কতদিন লাগে?

(৬) মোশন গ্রাফিক্স ডিজাইন

মোশন গ্রাফিক্স এর অপর নাম অ্যানিমেশন গ্রাফিক্স। এটিও খুবই জনপ্রিয় একটি কাজ। এভাবে বলা যায় যে, মোশন গ্রাফিক্স হলো স্টিল ইমেজ গ্রাফিক্স এর আপডেট ভার্সন। অনেকেই হয়ত মোশন গ্রাফিক্স এবং স্টিল ইমেজ গ্রাফিক্স এর পার্থক্য বুঝেন না। তারা জেনে নিন গ্রাফিক্স ডিজাইন কত প্রকার?

মোশন গ্রাফিক্সও খুবই সম্ভাবনাময় একটি কাজ। এটি শেখার জন্য আপনাকে একাডেমিক ভাবে বিশেষ দক্ষ হতে হবে না। আপনি চাইলে মোশন গ্রাফিক্স ডিজাইন শেখার মাধ্যমে আপনার ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার বিল্ড করতে পারেন।

(৭) ভিডিও এডিটিং

বর্তমান সময়ে ভিডিও এডিটিং কম-বেশী সকল মানুষেরই প্রয়োজন হয়। অনলাইন এবং অফলাইনে এর প্রচুর চাহিদা রয়েছে। একটি অনলাইন জরিপে দেখা গেছে, বেশীর ভাগ মানুষ অডিওর থেকে ভিডিও বিষয়ে আগ্রহী এবং এই আগ্রহের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলছে।

ইউটিউব এর কথাই ভাবুন, মানুষ এখন ফেসবুক রেখে ইউটিউবের প্রতি খুবই আগ্রহ দেখাচ্ছে। কারণ, ভিডিও বার্তাগুলো কষ্ট করে পড়তে হয়না। শুধু তাকিয়ে থাকলেই বার্তার মেসেজ সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। তবে ভিডিও বার্তাকে আকর্ষণীও করার জন্য সুন্দর এবং দক্ষতার সাথে ভিডিও এডিটিং করাও জরুরি।

তাই দিন দিন দক্ষ ভিডিও এডিটরের চাহিদাও বাড়ছে। সামনের দিনগুলোতে ভিডিও এডিটিংয়ের জন্য দক্ষ এডিটরের চাহিদা আরো বেড়েই চলবে।

ভিডিও এডিটিং শেখার জন্য একাডেমিক তেমন পড়াশোনার প্রয়োজন নেই। শিখতেও তেমন কষ্ট হবে না। তাই ভিডিও এডিটিং হতে পারে আপনার জন্য ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার বিল্ড করার খুবই সহজ একটি মাধ্যম।

(৮) কন্টেন্ট রাইটিং

কন্টেন্ট রাইটিং মূলত লেখালেখির একটি পেশা। এই পেশায় নিজেকে নিয়োজিত করতে হলে লেখালেখিতে আগ্রহী হতে হবে। এটি ডিজিটাল মার্কেটিং এরই একটি অংশ। কন্টেন্ট রাইটিং সবার জন্য নয়। আপনার যদি লিখতে এবং পড়তে ভালো লাগে, তবে কেবলই এই পেশাটি আপনার জন্য।

আপনি বিভিন্ন বিষয়ের উপর কন্টেন্ট রাইটিং করে হিউজ পরিমাণ টাকা ইনকাম করতে পারবেন। অনলাইনে কন্টেন্ট রাইটিংয়ের অনেক চাহিদা রয়েছে। অতএব, আপনি চাইলে কন্টেন্ট রাইটিং এর উপর দক্ষতা অর্জন করে আপনার জন্য খুবই চমৎকার একটি ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার বিল্ড করতে পারেন।

গুরুত্বপূর্ণ কিছু কথাঃ

অনেকেই মনে করেন, বিভিন্ন মার্কেপ্লেস থেকে ইনকাম করাটাই শুধু ফ্রিল্যান্সিং। এটা একটি ভুল ধারণা। আপনি যদি আপনার নিজের ওয়েবসাইটের মাধ্যমেও সার্ভিস দিয়ে অনলাইন থেকে ইনকাম করেন, তবে এটাও ফ্রিল্যান্সিং এর অন্তর্ভূক্ত হবে।

আমি অনেক মানুষকে দেখেছি, আবেগের বশবর্তী হয়ে ২/৩ বছর যাবত অনলাইন ইনকামের পেছনে ছুটোছুটি করেও কিছুই করতে পারেনি। এটার মূল কারণ হলো, তারা সঠিক স্কিল ছাড়াই অনলাইন থেকে ইনকাম করার জন্য পাগলপাড়া হয়ে গেছে। এটা আমার দৃষ্টিতে চরম বোকামি।

আমাদের দর্শকদের উদ্দেশ্যে বলবো, আপনারা যারা অনলাইন থেকে সত্যিই ইনকাম করতে চান, তারা অবশ্যই কোনোনা কোন কাজের উপর অভিজ্ঞতা অর্জন করার পর অনলাইন থেকে ইনকাম করার চিন্তা করবেন। কখনই টাকার পেছনে ছুটবেন না। নিজের স্কিল অর্জনে মনোযোগী হন, নিজের দক্ষতা বাড়ান। দেখবেন টাকাই আপনার পেছনে দৌড়াচ্ছে!

আমরা ইতোমধ্যেই এই ওয়েবসাইটে বিভিন্ন স্ক্রিল এবং ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার সম্পর্কে আলোচনা করেছি, আমাদের আর্টিকেল গুলো ফলো করতে পারেন। আমাদের প্রত্যেকটা আর্টিকেলে বাস্তব অভিজ্ঞতা শেয়ার করা হয়, তাই আপনারাও অনলাইন ইনকাম সম্পর্কে সঠিক গাইড পাবেন।

IT Nirman

যত জ্ঞান-ধন করেছি অর্জন জীবনের প্রয়োজনে,
তার সবটুকুই বিলাতে চাই সৃষ্টির কল্যাণে।

Add comment

Your Header Sidebar area is currently empty. Hurry up and add some widgets.