অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং VS ব্লগিং | কোনটা বেশী লাভজনক?

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং VS ব্লগিং | কোনটা বেশী লাভজনক?

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং VS ব্লগিং। এই দুইটার মাঝে কোনটা বেশী লাভজনক? এই বিষয়ে নতুনদের মাঝে বিভিন্ন কনফিউশন সৃষ্টি হতে দেখেছি। আমিও একসময় এই বিষয়ে কনফিউশন ফিল করেছি। আর সেই অভিজ্ঞতা থেকেই নতুনদের জন্য অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ও ব্লগিং সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা দিতে চেষ্টা করবো। প্রথমেই বলে নিই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হলো ডিজিটাল মার্কেটিং এর ছোট্ট একটি অংশ।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি?

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং একটি উন্মুক্ত পেশা। এটি ব্লগিংয়েরই একটি ছোট্ট অংশ। অনলাইন ইনকামের একটি বড় অংশ জুড়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের বিচরণ। তবে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের সাথে ব্লগিংয়ের তুলনা করা একটি চরম বোকামি বটে। তবুও আমাদের দর্শকদের প্রয়োজনে সঠিক তথ্যের উদ্ঘাটন করে দেওয়াই আমাদের কর্তব্য। তাই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং যদিও ব্লগিংয়ের ছোট্ট একটি অংশ হিসেবে ধরা হয়, কিন্তু সারাবিশ্ব জুড়েই এর চাহিদা অপরসীম। বর্তমান সময়ে অনেক কোম্পানি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের উপরই দাঁড়িয়ে আছে। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এমন একটা বিষয়ের নাম, যেটা ব্যবহার করে তিনটি পক্ষ একসাথে লাভবান হতে পারে।

কোম্পানির প্রোডাক্ট সেল করে কোম্পানি লাভবান। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার কোম্পানির প্রোডাক্ট বিক্রি করে দেওয়ার ফলে কোম্পানি থেকে সামান্য প্রফিট পেয়ে লাভবান। পাশাপাশি একজন ক্রেতা সহজেই ভালো প্রোডাক্ট কিনে লাভবান। এভাবেই তিনটি পক্ষ একসাথে লাভবান হয়। এজন্যই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলছে।

এই বিষয়ে আরো বিস্তারিত জানুন: অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি? অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে করতে হয়?

ব্লগিং কি?

ব্লগিং মানে লেখালেখির করার পেশা। যাদের লিখতে ভালো লাগে তারা ইচ্ছে করলেই ব্লগিংয়ে কাজ করে নিজের জন্য একটি ভালো ক্যারিয়ার বিল্ড করতে পারে। কিন্তু ব্লগিং বিষয়টা খুবই জটিল। যদিও এর ফলাফল খুবই ভালো। তবে একথা সত্য যে, ব্লগিং ক্যারিয়ার সবার জন্য না। যারা একান্তই লেখালেখিতে আগ্রহী, এই পেশা শুধু তাদেরই জন্য।

কেউ যদি ভালো ব্লগ লিখতে জানে, তবে তার জন্যই ব্লগিং করা উচিত। সঠিক ভাবে ব্লগিং করতে পারলে অর্থ উপার্জনের অগণিত পথ তৈরি হবে। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং তো শুধু একটি বিষয়ের উপর নির্ভরশীল। তা হলো প্রোডাক্ট বিক্রি করা। আর ব্লগিং একটি সমুদ্র! অর্থাৎ, ব্লগিং এমন একটা বিষয়, যা প্রতিটি বিষয়ের সাথেই সম্পৃক্ততা বজায় রাখে। এই সেক্টরটি অনেক বিশাল।

ব্লগিংয়ে কাজ করতে হলে লেখালেখিতে অবশ্যই নিজের ক্রিয়েটিভিটির প্রমাণ করতে হবে। দর্শকদেরকে লেখালেখির মাধ্যমে এমন কিছু দিতে হবে, যা থেকে দর্শকেরা লাভবান হয়। তবেই ব্লগিং থেকে একটি দারুণ ক্যারিয়ার বিল্ড করা সময়ের ব্যাপার মাত্র।

গুরুত্বপূর্ণ কিছু কথাঃ

কখনই শুধুমাত্র অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের উপর জোর দেওয়া ঠিক হবে না। ব্লগিংয়ে যদি কেউ দুর্বল হয়, তবে তার অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংও অনেক দুর্বল হয়ে পড়বে। কেননা, ব্লগ থেকেই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের কাজ করতে হয়। ব্লগ যদি ভালো না হয়, তবে ব্লগ সাইটে ভিজিটর পাওয়া দুর্লভ ব্যাপার। আর ভিজিটর না পেলে মার্কেটিং করা পসিবল হবে না। তাই ব্লগিংয়ের প্রতি বেশি জোর দিয়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করুন। তবে খুব সহজেই কাঙ্খিত লক্ষ্য অর্জন করতে পারবেন। আশাকরি বিষয়টা বুঝতে পেরেছেন।

👉 আর্টিকেলটি উপকারী মনে হলে আপনার বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করুন। ধন্যবাদ।

IT Nirman

যত জ্ঞান-ধন করেছি অর্জন জীবনের প্রয়োজনে,
তার সবটুকুই বিলাতে চাই সৃষ্টির কল্যাণে।

Add comment

Your Header Sidebar area is currently empty. Hurry up and add some widgets.